নিউজ এন্ড নোটিশ

অনলাইনে কেনাকাটা: কোন পথে বাংলাদেশ

দেশে অনলাইনে কেনাকাটার পরিমাণ বছরে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায় লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং মান নিয়ন্ত্রণে নজরদারির অভাবে থেকে যাচ্ছে।

 

ডেইলি ফুড শপ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক গ্রোসারি শপ। বর্তমান সমাজের ব্যস্ত ঢাকায় প্রত্যেকটি মানুষ তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেন ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পারে এমন লক্ষ্য নিয়েই ডেইলি ফুড শপ এর যাত্রা শুরু। “হাতের মুঠোয় দৈনিক বাজার” এই স্লোগান নিয়েই ডেইলি ফুড শপ ঢাকাবাসীদের তাদের প্রাত্যহিক হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত। খুব দ্রুত আমরা চট্রগ্রাম এবং খুলনায় যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি, যদিও আপাতত এই সেবাটি ঢাকা এর মাঝেই সীমাবদ্ধ। এছাড়াও খুব দ্রুত আশা করছি সারা বাংলাদেশে আমাদের ডেইলি ফুড শপ সেবা ছড়িয়ে দেব।
ডেইলি ফুড শপ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক গ্রোসারি শপ। বর্তমান সমাজের ব্যস্ত ঢাকায় প্রত্যেকটি মানুষ তার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেন ঘরে বসে কেনাকাটা করতে পারে এমন লক্ষ্য নিয়েই ডেইলি ফুড শপ এর যাত্রা শুরু। “হাতের মুঠোয় দৈনিক বাজার” এই স্লোগান নিয়েই ডেইলি ফুড শপ ঢাকাবাসীদের তাদের প্রাত্যহিক হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত। খুব দ্রুত আমরা চট্রগ্রাম এবং খুলনায় যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি, যদিও আপাতত এই সেবাটি ঢাকা এর মাঝেই সীমাবদ্ধ। এছাড়াও খুব দ্রুত আশা করছি সারা বাংলাদেশে আমাদের ডেইলি ফুড শপ সেবা ছড়িয়ে দেব।

অনলাইনের ক্রেতারা এখনো পণ্য হাতে পাওয়ার পর নগদ টাকায় মূল্য পরিশোধে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, যাকে বলা হয় ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’। কিন্তু তাতে লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায় না, কর বা শুল্ক ফাঁকির সুযোগ থেকে যায়।

আবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায় গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা, নিম্নমানের বা মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহের মত অভিযোগের ক্ষেত্রে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

বাংলাদেশে অন-লাইনে কেনাবেচার শুরু মূলত ২০১১ সাল থেকে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এনএসপিবি) চালু করলে ব্যাংকের মাধ্যমে অন-লাইনে মূল্য পরিশোধের পদ্ধতিটি চালু হয়।

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশে অনলাইনে ব্যবসার আকার এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
দেশে এখন প্রায় দুই হাজার ই-কমার্স সাইট এবং ৫০ হাজার ফেইসবুক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন দেশের মধ্যে ডেলিভারি হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার পণ্য।

এই মুহূর্তে অন-লাইনে বিক্রি হওয়া পণ্যের ৮০ শতাংশ যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে। তবে ফেইসবুকের মাধ্যমে অনেকে যেভাবে পণ্য বিক্রি করছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তার আইনগত বৈধতা নেই।

এ খাতকে নিয়মের মধ্যে আনতে সরকার ২০১৮ সালে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা’ করলেও ই-কমার্স বা ডিজিটাল কমার্সের জন্য কোনো নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এখনও তৈরি হয়নি।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ই-কমার্স বা ডিজিটাল কমার্স যাই বলুন না কেন, যদি চান যে সব নিয়মের মধ্যে চলবে, তাহলে একটা মনিটরিং অথরিটি লাগবেই।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই মুহূর্তে তেমন তো রেগুলেটারি অথরিটি আমাদের নেই। তবে আমারা এ ব্যাপারে কথাবার্তা বলছি। খুব তাড়াতাড়ি আমরা কিছু একটা করব। আমাদের চিন্তা ভাবনায় আছে।”

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের দুই শিক্ষার্থী গতবছর অক্টোবরে একটি সমীক্ষা চালান। দেশের অন-লাইন বাজারের হাল হকিকত বুঝতে ১০৬ জন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলেন তারা।

উত্তরদাতাদের ৮০ শতাংশ মনে করেন, অনলাইন কেনাকাটায় সময় বাঁচে। আবার ৬০ শতাংশ বলেছেন, সব দিক হিসাব করলে অন-লাইন কেনাকাটায় সময় বেশি খরচ হয়, আর এটা ঝুকিপূর্ণও বটে।

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই মনে করেন, অন-লাইনে কেনাবেঁচা একটি নতুন কনসেপ্ট এবং গ্রাহকের সুবিধার জন্য পেমেন্ট সিস্টেম বাড়ানো প্রয়োজন।

মাছ, মাংস, সবজি, ফলমূল থেকে শুরু চাল, ডাল, কাপড়, প্রসাধনী, আসবাবপণ্য, বই, ইলেকট্রনিক পণ্য, গয়না এমনকি মোটর গাড়িও এখন অন-লাইনে বিক্রি হচ্ছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে, অনলাইনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে পোশাক, প্রসাধনী ও গয়না। মাছ, মাংস আর সবজির মত কাঁচা পণ্যের বিক্রি সবচেয়ে কম।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ২৫ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে যাদের বয়স, বাংলাদেশে মূলত তারাই অন-লাইনে পণ্যের প্রধান ক্রেতা।

অন-লাইনে পণ্য বিক্রি করে এরকম ৮১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জরিপকারী শিক্ষার্থীরা দেখতে পেয়েছেন, একটি মাত্র পণ্য বিক্রি করেন- এমন ওয়েবসাইটের বিক্রি ২০১১ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যারা বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেন- তাদের বিক্রি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

অন-লাইন পণ্যের ক্রেতাদের একটি বড় অংশ মধ্যবিত্ত। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ক্রেতাদের ৪০ শতাংশের মাসিক আয় ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে।

 

মূল লেখাঃ https://bangla.bdnews24.com/business/article1631869.bdnews